বেনাপোল প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাব।
রবিবার বেলা ১১ টার সময় বেনাপোল থেকে প্রকাশিত অনলাইন পোর্টাল দৈনিক আশার আলোর আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়। এর আগে হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বেলা সাড়ে ১০ টার সময় একটি বিক্ষোভ র্যালি বের হয়ে বন্দর নগরী বেনাপোলের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সাংবাদিকরা।
বেনাপোল চেকপোষ্টে মানববন্ধন কর্মসূচীতে দেশে চলমান সাংবাদিক নির্যাতন হত্যাকান্ড সংঘটিত সকল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। উক্ত মানববন্ধন কর্মসসূচীতে সাংবাদিক ছাড়াও মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানান।
বেনাপোল চেকপোষ্টের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাংবাদিকবৃন্দ খুনিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন। এতে প্রশাসন ব্যর্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার বেনাপোল প্রতিনিধি শেখ কাজিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক ও সময় টিভির বেনাপোল প্রতিনিধি আজিজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদুজ্জামান রাছেল, দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার প্রতিনিধি জিএম আশরাফ, এশিয়ান টিভির মিলন হোসেন, দৈনিক আশার আলো পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আসাদুজ্জামান আশা, সাংবাদিক আকাশ হোসেন সাগর, মানবাধিকার কর্মী শিরীন আক্তার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মুজাক্কির দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করে সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।