খবর৭১ঃ মশা নিধনে সাত দিনের বিশেষ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই অভিযানে করপোরেশন এলাকার ৪৪ হাজার ৯৬৮টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ হাজার ১২৯টি স্থানে মশার প্রজননস্থল পাওয়া গেছে। সেগুলো ধ্বংস করে সেখানে কীটনাশক ছিটিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সপ্তাহব্যাপী অভিযানে ২১০ স্থানে মিলেছে মশার লার্ভা।
রবিবার মশা নিধনে ডিএনসিসির সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শেষ হয় বলে করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া অভিযান ২১ ফেব্রুয়ারি ও শুক্রবার ব্যতীত মোট সাত দিন পরিচালিত হয়। এই সাত দিনে ৪৪ হাজার ৯৬৮টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ২১০টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩০ হাজার ১২৯টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া এবং অন্যান্য অপরাধে স্থাপনা মালিকদের থেকে ৮৯টি মামলায় মোট ১০ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের মধ্যে অঞ্চল-৩ এ সবচেয়ে বেশি স্থানে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে। ১৩ হাজার ৪৫০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে সাত হাজার ৪৮১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আর ৭৩টি স্থানে পাওয়া গেছে মশার লার্ভা।
মশার প্রজনন উপযোগী স্থান ও লার্ভা শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের মধ্যে অঞ্চল-৩ এ জরিমানাও আদায় হয়েছে সর্বোচ্চ।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অঞ্চলে স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া ও অন্যান্য অপরাধের কারণে ২৩টি মামলায় চার লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।