খবর ৭১: রবিবার নিউজিল্যান্ড থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় মেহেদী মিরাজ বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তিনদিন যে ঘরের ভেতর বন্দি ছিলাম, আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে যেন জেলখানায় আছি। কিন্তু যখন বাইরে বের হলাম, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিলাম, তখন একটু ভালো মনে হয়েছে।’
প্রথম দিকের সময়গুলো কীভাবে কাটিয়েছেন, তারও বর্ণনা দিয়েছেন মিরাজ। আশা করছেন বাকি দিনগুলোও কাটিয়ে দিতে পারবেন এভাবে, ‘এই প্রথম হোটেলের ভেতর এরকম পাঁচটা দিন কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না মোটেও। প্রথম তিনদিন তো কারও সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। ফোনে-ফোনে কথা হয়েছে, ভিডিও কলে কথা হয়েছে (হাসি) রুম টু রুম। প্রথমদিকে বিরক্ত লাগছিল, সময় কাটছিল না যেহেতু। এখন যেহেতু পাঁচদিন কেটে গেছে, আশা করি আরও তিনদিন কেটে যাবে।’
শুক্রবার করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর ক্রিকেটাররা প্রথমবার বের হওয়ার সুযোগ পান। এভাবে প্রতিদিন ত্রিশ মিনিটের জন্য বাইরে হতে পারছেন সবাই। আপাতত এটাতেই স্বস্তি খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছেন এই অলরাউন্ডার, ‘দেখেন তিন-চারদিন রুমে কাটানো, এটা আসলে আমাদের জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক না। এই যে ত্রিশ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে দেয়, এটা ভালো লাগে যখন রুমে ফিরে যাই’।
নিউজিল্যান্ডে ২০ মার্চ প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে এক সপ্তাহের মতো ভালোভাবে অনুশীলনের সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। যদিও আর দুইদিন পরই একক ভাবে অনুশীলন করার সুযোগ মিলবে। কিন্তু সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা হয়তো পাবে না বাংলাদেশ। মিরাজ অবশ্য এই বিষয়গুলোকে বড় করে দেখছেন না, ‘ছয়-সাতদিন পর যখন আমরা জিম এবং মাঠে যেতে পারবো, তখন আমাদের ভালো লাগবে। এখন হয়তো সময়টা কাটছে না। জিমের ফ্যাসিলিটিজ বা আমরা যদি কিছু ওয়ার্ক করতে পারতাম। তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো, সময়টা কেটে যেত, বডি ফিটনেস ভালো হতো। যেহেতু সুযোগ নেই, দুই-তিনদিন পর শুরু হবে। আশা করি তখন আর কোন সমস্যা থাকবে না।’
ক্রিকেট বিশ্বের একমাত্র দেশ নিউজিল্যান্ড, যেখানে কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করার পর নেগেটিভ ফল এলে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ আছে। কারণ দেশটি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেছে। এর আগে সবশেষ ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল তামিম-মুশফিকরা। সেবার ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সফর স্থগিত করেই তাদের ফিরতে হয়েছিল। এবারও খেলা আছে সেই ক্রাইস্টচার্চে।
এবারের সফরে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। ২০, ২৩ ও ২৬ মার্চ হবে তিনটি ওয়ানডে; ভেন্যু যথাক্রমে- ডানেডিন, ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটন। ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচটি দিবা-রাত্রির। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। ম্যাচ তিনটি ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ভেন্যু যথাক্রমে- নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টন।