খবর৭১ঃ কারাগারের ভেতরে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কি-না তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেটে নবনির্মিত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব মৃত্যুর অ্যাগেনস্টে তদন্ত হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যু বলুন বা স্বাভাবিক মৃত্যুই বলুন- নানা প্রশ্ন আসে। সেজন্যেই যেকোনো মৃত্যুর ঘটনায়, তা কারাগারেই হোক কিংবা দুর্ঘটনা হোক, আমরা ময়নাতদন্ত করে থাকি। ময়নাতদন্তের পর আমরা সঠিকভাবে বলতে পারব কেন এই মৃত্যু হয়েছে। আমাদের তদন্ত কমিটি যেটা বলবে সেই অনুযায়ী যা প্রয়োজন আমরা করব।’
ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় নয় মাস আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট কিশোরসহ কয়েকজন। লেখক-ব্যবসায়ী মুশতাককে রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগারে থাকাকালীন গতকাল রাতে মারা যান ৫৩ বছর বয়সী এই অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও লেখক।
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, ‘মুশতাক আহমেদ আগেও দুই-একবার তার লেখনীতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ কিংবা অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করেছিলেন। সেজন্য অনেকেই মামলা করেছিলেন। সম্প্রতি ২০২০ সালে যে মামলাটি হয়েছিল সেই মামলায় তিনি কাশিমপুর জেলখানায় অন্তরীণ ছিলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইজি প্রিজন থেকে সংবাদ পেয়েছি, তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করলে আমাদের কারাগারের হাসপাতালে সেবা পান। তারপর তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’
মন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।