পিলখানায় শহীদ সেনাসদস্যদের শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ

0
191
নিহতদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়
নিহতদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়

খবর ৭১: ২০০৯ সালের এই দিনে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনাসদস্য। হত্যাকাণ্ডের ১২তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ।

শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হচ্ছে পিলখানায় শহীদ হওয়া সেনাসদস্যদের। বৃহস্পতিবার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় নিহতদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পিলখানা ট্র্যাজেডির ১২তম বার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় শহীদদের কবরে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

আরও শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।

ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদদের সম্মানে স্যালুট দেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

২০০৯ সালে এই দিনে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে শুরু হয় ‘বিডিআর বিদ্রোহ’। বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ওই বাহিনীর ৭৪ সদস্য নিহত হন। নিহতদের তালিকায় ছিলেন তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল। সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বিডিআরের গুলিতে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হন।

পিলখানার চারটি মূল ফটকই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুড়তে থাকে। জন্ম নেয় ইতিহাসের এক বীভৎস ঘটনার। টানা ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান ঘটলেও ততক্ষণে বিদ্রোহী সৈনিকরা কেড়ে নেন ৫৭ জন দক্ষ সেনা কর্মকর্তার জীবন। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। ঘটনার পর পিলখানায় আবিষ্কৃত হয় গণকবর। যেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here