খবর৭১ঃ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকায় কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন শুনানি শেষে তা ফেরত দিয়েছে আদালত। ফলে এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আর কোনো মামলা হচ্ছে না।
মঙ্গলবার আলোচিত এই মামলা গ্রহণের পক্ষে বাদীপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি শোনেন ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম। পরে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নেয়ায় মামলাটি ফেরত দেয়া হলো।
মামলার আবেদনকারী বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি মশিউর মালেক জানান, আদালত বলেছে যে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়েরের জন্য সরকারের অনুমোদন থাকার দরকার হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন না থাকার কারণে আবেদনটি বাতিল করার কথা জানানো হয়।
বাদী বলেন, ‘মামলাটি আদালত খারিজ করেননি। সরকার বা সরকারের বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার আদেশ আনা গেলে মামলাটি নেয়া হবে।’
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটির আবেদন করেন মশিউর মালেক। আবেদনে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান এবং তার ভাইদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আল জাজিরা রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছে।
আবেদনে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তারা হলেন, ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, সুইডেন প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরি প্রবাসী বাংলাদেশি জুলকারনাইন সামি এবং আল জাজিরার ডিরেক্টর জেনারেল ও প্রধান সম্পাদক মোস্তেফা স্যোয়াগ।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামের এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রচারের পর থেকে এখন পর্যন্ত এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক চলছে। তবে সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।