খবর৭১ঃ কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর। কিন্তু তাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের পেছনে গত এক দশকে প্রাণহানি ঘটেছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার অভিবাসী শ্রমিকের। যার মধ্যে বাংলাদেশের ১ হাজার ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
দেশটিতে বিশ্বকাপ ঘিরে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার এই শ্রমিকরা নিয়োজিত ছিল। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের দীর্ঘ এক অনুসন্ধানে কাতারে প্রবাসী শ্রমিকদের এই প্রাণহানির বিষয়টি উঠে এসেছে। গত ১০ বছরে যে কয়জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, তার অধিকাংশকেই স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করেছে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতার। গার্ডিয়ানের যে তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের যতজন মারা গেছেন, তাদের শতকরা ৬৯ ভাগের স্বাভাবিক মৃত্যু ও ১২ ভাগের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায়। শুধু ৭ ভাগের মৃত্যুর সঙ্গে কাজের পরিবেশ জড়িত। আর ৭ ভাগ কর্মী করেছেন আত্মহত্যা।এশিয়ার এই পাঁচ দেশের সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন করেছে।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ানে। এতে বলা হয়, ওই পাঁচ দেশের কাতারস্থ দূতাবাস ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মতে জানা গেছে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের ২,৭১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় বাংলাদেশের ১,০১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন কাতারে। এই দশ বছরে নেপালের ১,৬৪১, পাকিস্তানের ৮২৪ ও শ্রীলংকার ৫৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কাতারে। উল্লেখ্য, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। কেনিয়া ও ফিলিপাইনের অভিবাসী শ্রমিকদের পরিসংখ্যান ওই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়নি।
২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত এক দশক ধরে নজিরবিহীন নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে কাতার। সাতটি নতুন স্টেডিয়ামের পাশাপাশি কয়েক ডজন বড় প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বা নির্মাণাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।