খবর৭১ঃ রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিবেরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারণ মানুষের জন্য শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হয়।
করোনা মহামারির ভয় উপেক্ষা করে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে জনতার ঢল নেমেছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে সবাই হাজির হয়েছেন এই শহিদ স্মরণিকায়।
পলাশী মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষের সারি পলাশী মোড় ছাড়িয়ে নীলক্ষেত-আজিমপুর এলাকা পর্যন্ত চলে গেছে। সবার হাতেই ফুল কিংবা ফুলের তোড়া। অনেকে আবার এসেছিলেন পতাকা হাতে। এসময় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানটির সুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে বাজানো হচ্ছিল। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ক্রমেই পরিণত হচ্ছিল জনসমুদ্রে। সকালে এই ভিড় আরও বাড়বে।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব ঘোষ বলেন, ভাষা আন্দোলন হলো স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি। এজন্য প্রতিবছর যেখানেই থাকি না কেন এখানে আসি ফুল দেওয়ার জন্য, এবছর চাকরির পড়াশোনা আছে, তারপরও ফুল দিতে আসা সেই দায় থাকে।