আমিনুল ইসলাম বজলু,পাইকগাছা (খুলনা) ঃ
পাইকগাছায় বয়স্ক মানসিক প্রতিবন্ধি এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ধর্ষককে আটক করেছে। ধর্ষিতা ভিকট্রিম বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
অপর দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভিকট্রিমের চিকিৎসার ব্যাপারে দায়িত্ব অবহেলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ও ওসি এজাজ শফি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছে।
থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে ভিকট্রিম নূরজাহান বেগম(৬০) উপজেলার গদাইপুর গ্রামের মৃত মিনহাজ গাজীর মেয়ে। নূরজাহান একজন মানসিক প্রতিবন্ধি নারী। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সে পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে নূর জাহান তোকিয়া এলাকায় ওয়াজ মাহফিল শুনতে যায়। সেখান থেকে গভীর রাতে বাড়িতে ফিরে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর রাতে পার্শ্ববর্তী শ্যামনগর গ্রামের মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে সবুর সরদার(৬৫) ঘুমন্ত অবস্থায় নূরজাহানকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে নূরজাহানের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভিকট্রিম নূরজাহান গুরুতর আহত অবস্থায় থানায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করলে ওসি এজাজ শফি নিজেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে তার চিকিৎসার ব্যাপারে ডাক্তাররা অনেকটাই অবহেলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওসি এজাজ শফি ব্যক্তিগত ভাবে ভিকট্রিম নূরজাহানের চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ্যাম্বুলেন্স যোগে খুলনায় প্রেরণ থেকে শুরু করে নূরজাহানের সকল চিকিৎসা খরচ ওসি এজাজ শফি নিজেই বহন করে। এদিকে এঘটনায় ভিকট্রিমের বোন জামাই মোকছেদ মোড়ল বাদি হয়ে থানায় সবুরকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে। যার নং ১৮, তাং- ১৮/০২/২০২১। পুলিশ মামলার একমাত্র আসামি সবুর সরদারকে আটক করেছে বলে ওসি এজাজ শফি জানিয়েছেন।