খবর৭১ঃ মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের রায়ের কপি সরকার হাতে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রায়ের কপি ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, এখন তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
শুক্রবার রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) কর্মকর্তারা গত ৬ জুন বাংলাদেশি সাংসদ শহিদুল ইসলামকে তার বাসা থেকে আটক করে। গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের ফৌজদারি আদালত পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে লক্ষ্মীপুর–২ আসনের স্বতন্ত্র এই সাংসদকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাপুলের রায়টা আমরা পেয়েছি। ৬১ পৃষ্ঠার রায়। এটি দুটো ভাষায় আরবি এবং ইংরেজি আমরা পেয়েছি। আমরা আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় স্পিকারের কাছে এগুলো পৌঁছে দিয়েছি। বাকি অ্যাকশন (ব্যবস্থা) তারা নেবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রায়ের বারডিকটা পেলাম। আমাদের দেশের মতো কুয়েতেও বারডিক আসতে অনেক দেরি হয়, লিখতে অনেক সময়। আমরা এটা নিয়ে পেরেশানিতে ছিলাম। আপনাদের মিডিয়া প্রায়ই গিয়ে এটা নিয়ে জানতে চান, স্পিকারও প্রায়ই এটা নিয়ে ফোন করেন। আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলি, যাতে আমরা রায়টা তাড়াতাড়ি পেতে পারি। রায় আসার পরপরই আমরা যথাস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
সাংসদ পাপুলের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আমরা জাতীয় সংসদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। বাকিটুকু তারা সিদ্ধান্ত নেবে। তারা আইনবিধি মোতাবেক কাজ করবে। এটা আমার বলে লাভ নাই। এটা সংসদের একটা নীতি আছ, সেই নীতি অনুয়ায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে।’
কারাদণ্ড পাওয়া এই সাংসদ বাংলাদেশ সরকারে কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছেন কি না-এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উনি কোনো আইনি সহায়তা চাননি। উনি ওখানে ব্যবসায়ী হিসেবে থাকেন। উনি আমাদের কোনো ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট নিয়ে যাননি। আমাদের মিশনের কোনো সাহায্য তিনি চাননি। কারণ উনার নিজেরই ভালো অবস্থান রয়েছে সেখানে। উনার পাসপোর্ট ভিআইপি পাসপোর্ট।’