খবর৭১ঃ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। যার ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও অধিক হারে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটেনের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই কথা বলেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ আরও উন্নয়ন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা, আর্থিক খাত এবং আর্থিক প্রযুক্তি (ফিনটেক) প্রভৃতি খাতসমূহ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।
ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। এদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অত্যন্ত আগ্রহী। তবে তা নিশ্চিতকরণে তিনি বিদ্যমান নীতিমালাসমূহের কার্যকর ব্যবহারের আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হলো যুক্তরাজ্য। যেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। যার বিপরীতে ৪১১.০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে তৈরি সফটওয়্যার রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য হলো যুক্তরাজ্য এবং গত অর্থবছরের রপ্তানিকৃত মোট সফটওয়্যারের প্রায় ১৩ ভাগই যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে সফটওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানির পাশাপাশি এখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে ব্রিটেনের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগামী সপ্তাহ থেকে ‘ব্রিটিশ-বাংলাদেশ বাণিজ্য সংলাপ’ আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে উভয় দেশের সরকার ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং ব্রিটিশ দূতাবাসের বেসরকারি খাতের উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তা মহেশ মিশ্ররা প্রমুখ।