খবর৭১ঃ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রাণহানি ও সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক দশ হাজারের বেশি মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। তবে দ্বিতীয় দিনের মতো দশ হাজারের কম প্রাণহানি হয়েছে করোনায়। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১৯০ জনের। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৪ জন।
মহামারির শুরুর পর থেকে বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলের করোনা সংক্রমণের তথ্য হালনাগাদ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৭০ লাখ ৩ হাজার ৫২৬ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ২৪২ জন। করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জন।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৭৭ লাখ ৬২৯ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৫ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯০ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৫ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৫ লাখ ৫০ হাজার ৩০১ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ২৪৮ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। ইতালি অষ্টম। তুরস্ক নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে অদৃশ্য ভাইরাসটি। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার টিকা প্রদান শুরু করেছে। বাংলাদেশেও করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে।