খবর৭১ঃ
গণমাধ্যম দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, একটি গণমাধ্যম বা একজন সাংবাদিকের কলম অব্যক্তদের পক্ষে কথা বলেন। সমাজে অনেক মানুষ আছে যাদের ভাষা হারিয়ে গেছে। যারা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে; স্বপ্ন দেখার সাহসটুকু নাই। গণমাধ্যম তাদের অব্যক্ত কথা তুলে আনতে পারে, সেদিকে সামজের দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারে। তাই গণমাধ্যম দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। একটি উজ্জীবিত সমাজ ছাড়া রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না। তাই সমাজের অসঙ্গতির পাশাপাশি সমাজ যাতে আশান্বিত হয়, নতুন প্রজন্ম যেন ভবিষ্যতে আশা দেখে- সেই খবরগুলোও তুলে আনতে হবে।
সোমবার যুগান্তরের ২২ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুগান্তর দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকা। যুগান্তর তার পথচলার শুরু থেকেই এই শীর্ষস্থান দখল করে আছে। শুধু তাই নয়, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। অনেক পত্রিকা ভালোভাবে শুরু হয় কিন্তু পরে অবস্থান ধরে রাখতে পারে না। দুই দশকের বেশি সময় ধরে যুগান্তর তার অবস্থান ধরে রাখাটি চাট্টিখানি কথা নয়। এ সাফল্যের পেছনে যুগান্তর প্রকাশক ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে বহুমাত্রিক সমাজের বিকাশের সম্পর্ক রয়েছে। গণমাধ্যমের সুষ্ঠু-স্বাভাবিক অবাধ বিকাশ ব্যতিরেকে একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে না। সেজন্য সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের জীবনে গত ১ বছরে আশান্বিত হওয়ার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে এখন মধ্যম আয়ের দেশ, দারিদ্র্য ছিল ৪১ শতাংশ- এখন সেটা ২০ শতাংশ। হিউম্যান ইনডেক্স, সোশ্যাল ইনডেক্স, ইকোনমিক ইনডেক্সে পাকিস্তানকে অনেক আগেই পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছি আমরা। পাকিস্তান আমাদের দেখে আক্ষেপ করে। এমনকি ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি অনেক ক্ষেত্রে। যেগুলো নিয়ে কথা হয়, সমালোচনাও হয়। তাই এ অর্জনগুলো যদি জাতি না জানে তাহলে আশান্বিত হবে না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি নিজে যুগান্তর পড়ি। কারণ যুগান্তর পড়লে বিএনপির খবরও পাওয়া যায়, আবার জাতীয় পার্টির খবরও পাওয়া যায়। বিএনপি কী বলল, জাতীয় পার্টি কী বলল- তথ্যমন্ত্রী হিসেবে সেটা জানা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যুগান্তরের ২২ বছরে পদার্পণ ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে আমিও ছিলাম। তখনও আমরা কেউ ভাবিনি, নুরুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। তিনি অত্যন্ত কর্মঠ মানুষ ছিলেন। এতগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, এত মানুষের কর্মসংস্থান করা- তিনি যদি কর্মঠ মানুষ না হতেন, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ না হতেন তবে কখনো সম্ভব হতো না। তিনি সেই কাজটি করেছেন। একইসঙ্গে গণমাধ্যমকে বিকাশের জন্য তিনি অবদান রেখেছেন। তার স্বপ্ন পূরণে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।