সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত

0
348
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারি সোমবার

খবর৭১ঃ দেশের ৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ শিক্ষা বর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৪টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে লটারির ভর্চ্যুয়াল উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতিক্রমে ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন করতে কম্পিউটার মাউসে ক্লিক করে আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুলের ষষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী রাদিয়া আনহু তানহা।

এর সঙ্গে সফটওয়ার শিক্ষার্থী বাছাই শুরু করে। সফটওয়ারে শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

লাটারির ফল পাওয়া যাবে http://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, সারাদেশে সরকারি স্কুলে ৮০ হাজার আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন জমে পড়েছে।

সারাদেশে মোট আসন ৭৭ হাজার ১৪০টি। দেশব্যাপী ৩৯০টি বিদ্যালয়ের জন্য ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নতুন জাতীয়করণ করা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় কমটির মাধ্যেম লটারি করা হবে।

লটারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এক কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে গত বছরের মার্চ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষা-শিখন কাজ থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য আমরা সংসদ টিভির মাধ্যমে দূরশিক্ষণ, অনলাইন পাঠদান ও এসাইনমেন্টভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, যা খুবই সফল ও প্রশংসিত হয়েছে বলে মাঠ পর্যায় থেকে জানতে পেরেছি।

ডা. দীপু মনি বলেন, স্কুলগুলোতে যেহেতু বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি, সেকারণে সরকারিভাবে আমরা এ বছর লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ প্রক্রিয়ায় বেসরকারি স্কুলগুলো এবং সম্প্রতি জাতীয়করণকৃত অনেক স্কুল স্থানীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তির কাজ লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন করছে। আর ৩৯০টি সরকারি স্কুলে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন আবেদনকারী ভর্তিচ্ছুদের মধ্য থেকে সারাদেশে মোট ৭৭ হাজার ১৪০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আজ ভর্তি নির্বাচন করার জন্য আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। এ প্রক্রিয়ার একটি ভালো দিক হলো সকল স্কুলে এবার নানা ধরনের মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, এ ডিজিটাল লটারির সার্বিক কারিগরি সহায়তার কাজ করেছে টেলিটক বাংলাদেশ এবং টেলিটকের সফট্ওয়্যারের যথার্থতা যাচাই-বাছাই করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here