খবর৭১ঃ নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে যুক্তরাজ্যজুড়ে আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া কোনো নাগরিক বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। এ সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
সোমবার ডাউনিং স্ট্রিটে এ ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর রয়টার্সের।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে সফল হওয়ার ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি এ নির্দেশনা জারি হলো।
লকডাউনের ঘোষণায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড ১৯-এর নতুন ধরন যুক্তরাজ্যেই প্রথম ধরা পড়ে। এটি বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। করোনাভাইরাসের নতুন এ ধরন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে বরিস জনসন আরও বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেড়ে গেছে। করোনার বিস্তারের পর এখনকার মতো পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি।
‘বহু দেশে জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে। করোনার নতুন ধরনের বিস্তার রোধে আমাদেরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এ কারণে আমরা দেশজুড়ে লকডাউনে যাচ্ছি। কারণ নতুন এ ধরন সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন থেকে নাগরিকদের বাড়িতে অবস্থান বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।’
জরুরি সেবা ছাড়া কোনো দোকান ও হোটেল এখন থেকে বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল বন্ধ থাকবে। জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরাই বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন।
বরিস জনসন আশঙ্কা করছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ খুব কঠিন সময় যাবে। এই সময় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, চার জনগোষ্ঠীর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে প্রথম টিকার ডোজ দেয়া হবে।
কেয়ার হোমের বাসিন্দা এবং তাদের যারা দেখাশোনা করেন, ৭০ বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তি, ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্য ও সমাজকর্মী এবং ক্লিনিক্যালি যারা অত্যন্ত দুর্বল- তাদের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে টিকার ডোজ দেয়া হবে।
এখন থেকে ব্রিটেনের নাগরিকরা ৫ কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না।
এগুলো হলো-
*যারা বাড়িতে কাজ করতে পারবেন না। যেমন– নির্মাণ শ্রমিকরা।
*দিনে একবার বাড়ির বাইরে ব্যায়ামের জন্য বের হতে পারবেন।
*প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ কিনতে বের হতে পারবেন।
*দুর্বল লোকদের যত্ন বা সহায়তা দিতে।
*চিকিৎসা সেবা নিতে, কোভিড টেস্ট এবং সহিংসতার মুখে পড়লে বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন।
এদিকে স্কটল্যান্ডে নাগরিকদের জন্যও ‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ওয়েলসে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।