খবর৭১ঃ ভারতে অক্সোফোর্ডের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই ছাড়পত্র দেয়া হয়। খবর এনডিটিভির।
পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিবেশী দেশটিতে করোনা টিকা প্রয়োগ আগেই শুরু হয়েছিল। এবার চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দেয়া হলো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তৈরি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে।
অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড টিকাটিকে ছাড়পত্র দেয়া হলো। সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড টিকাটি তৈরি করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে।
এই খবর লেখা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের বৈঠক চলছিল। টিকা উৎপাদনকারী দুটি গ্রুপ বুধবার বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সামনে তাদের তথ্য উপস্থাপন করেন। তবে ফাইজার ডাটা উপস্থাপনের জন্য আরও সময় চেয়েছে।
ভারতের ড্রাগস নিয়ন্ত্রণ জেনারেল থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পর এই মাস থেকে কেন্দ্র টিকাদান কর্মসূচি শুরু করবে।
আগামীকাল শনিবার থেকে ভারতের সব রাজ্যে টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন রাজধানীতে এ কর্মসূচি মনিটর এবং বিশ্লেষণ করবেন। সম্ভাব্য যাদের টিকা দেয়া হবে এসএমএসের মাধ্যমে তাদের জানানো হবে। টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে করোনার সম্মুখযোদ্ধারা প্রাধান্য পাবেন। টিকাদানের পর ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেয়া হবে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যমগ্রাম ও দত্তাবাদের উচ্চ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং আমডাঙার গ্রামীণ হাসপাতালে বহু প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান হবে। প্রাথমিকভাবে ২৫ জনের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। সকাল ৯টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে ড্রাই রানের কাজ।
নতুন বছরের প্রথম দিন ড্রাগস রেগুলেটরদের কাছে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাশ্রয়ী টিকাদানের সুপারিশ মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতের এক বিশাল অর্জন। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ। ভারত সরকার আগামী ছয় থেকে আট মাসে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছে।