থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়

0
441
থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়

খবর৭১ঃ

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উদযাপনে থাকছে না কোনো আড়ম্বর। নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা। উন্মুক্ত স্থানে থাকছে কোনো অনুষ্ঠানেরও অনুমতি নেই। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া আয়োজনেই সীমাবদ্ধ থাকছে এবারের বর্ষপূর্তি উদযাপন।

অন্যদিকে থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে কোনো প্রকার হুমকি নেই বলে বুধবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তা সত্ত্বেও যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকার পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এ লক্ষ্যে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করছে।

সূত্র জানায়, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও এলাকায় নজরদারি করছেন। গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া থার্টিফার্স্টের রাতে ওই এলাকায় বহিরাগত কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারায় প্রবেশের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা তল্লাশি চালাচ্ছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনেককে।

তল্লাশি নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরিা জানান, অভিজাত এলাকাসহ রাজধানীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করা হচ্ছে।

গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গুলশান-বারিধারা-বনানী এলাকায় প্রবেশের জন্য রাত ৮টা থেকে আমতলী ও বনানী ২৭ নম্বর সড়ক খোলা রাখা হবে। বাকি সব সড়ক বন্ধ করা হবে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, সবকিছু কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। রাতভর সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই থাকবে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। এছাড়া সুউচ্চ ভবনগুলো থেকে নজরদারি, মোবাইল পেট্রোলিং, হোটেল কেন্দ্রিক বিশেষ ডিপ্লয়মেন্ট থাকবে। তাছাড়া কূটনৈতিক পাড়ায় থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দা ছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বন্ধ। তাই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণা কম থাকবে। কোনো প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়াও হবে না।

অন্যদিকে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, করোনার এই দুর্যোগে নিজ নিজ অবস্থান থেকে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন করা ভালো। এজন্য ত্রিমাত্রিক নজরদারি করা হচ্ছে। সাদা পোশাকে নজরদারি, পোশাকধারী টহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে অপপ্রচার রোধে সাইবার মনিটরিংও থাকবে বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here