খবর৭১ঃ সাড়ে তিন হাজার টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে. এম. ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন। বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন রাজধানীর ধানমন্ডির দুটি ফ্ল্যাটসহ পি কে হালদারের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
এর আগে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় আবেদন করে কমিশন। গত ২ ডিসেম্বর তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করতে পরোয়ানা জারির আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ।
গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
সরকারে আর্থিক খাত থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেয়ারে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। আর ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। পি কে হালদারের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগও অনুসন্ধান করছে।
সম্প্রতি আলোচিত পি কে হালদারের দেশে ফেরার আগ্রহের কথা জানান তার আইনজীবী। আদালতে এ বিষয়ে আবেদনও করা হয়। সার্বিক দিক বিবেচনার পর তাকে দেশে ফেরার অনুমতি দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পি কে হালদার দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের আইজি এবং ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি কারাগারে থাকাবস্থায় পিকে হালদার যেন অর্থ পরিশোধের সুযোগ পান সে বিষয়ে সুযোগ দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের এমন নির্দেশনার পর হঠাৎ করেই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কানাডা থেকে আর দেশে ফেরেননি পি কে হালদার