রেদোয়ান হোসেন জনি:
ফলদ বৃক্ষরোপনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল হতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলদ বাংলাদেশ নামক সংগঠনের ব্যানারে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত ৪০০ কিলোমিটার বৃক্ষ পদযাত্রা করছেন ৮ স্বেচ্ছাসেবী। দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ৮ সদস্যের ফলদ বাংলাদেশের দল ত্রিশাল কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কবি দ্রাবিড় সৈকতের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলার প্রবেশদ্বার বারইয়ারহাট পৌঁছান আজ ২৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে।
বিকেলে মিরসরাইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা শান্তিনীড় কার্যালয়ের পাশে ১টি ফলদ লাগানোর পর শান্তিনীড় পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিনীড় সভাপতি আশরাফ উদ্দিন সোহেল, উপদেষ্টা কাস্টমস্ এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ফলদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দ্রাবিড় সৈকত, শান্তিনীড়ের সিনিয়র সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন, সহসভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল আলম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইয়াছিন শরীফ, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক মো: আজিম, সাংবাদিক রাজীব মজুমদার। এছাড়াও ফলদ বাংলাদেশ টিমের বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মাহমুদুল আহসান লিমন, শিক্ষার্থী রাতুল মুন্সী, হুমায়ুন কবীর টুটুল, নিউটন চাকমা, শাহীন আলম, সুজালো চাকমা ও রঞ্জিত কুমার উপস্থিত ছিলেন।
ফলদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দ্রাবিড় সৈকত বলেন, “পুষ্টি অর্থ সবুজ পথ, ফলের গাছেই ভবিষ্যৎ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফলদ বাংলাদেশের আয়োজনে বৃক্ষপদযাত্রায় ফলের গাছের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের জন্য ক্ষতিকর বৃক্ষের প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ফলদ বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়িসহ ৭ জেলার ২৪টি উপজেলাসহ দেড় শতাধিক বাজারে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করছি।
শান্তিনীড় সভাপতি আশরাফ উদ্দিন সোহেল শান্তিনীড় পরিবারের পক্ষ থেকে ফলদ বাংলাদেশের বৃক্ষ পদযাত্রার সাফল্য ও নিরাপদ পরিসমাপ্তি কামনা করেন।
বারইয়ারহাটে আজ রাত্রিযাপন শেষে আগামীকাল সকাল ৬টায় বৃক্ষপদযাত্রার পুনর্যাত্রা শুরু হবে খাগড়াছড়ি অভিমুখে। খাগড়াছড়ির শহীদ মিনার চত্বরে বছরের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর পরিসমাপ্তির কথা রয়েছে এ পদযাত্রার।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১২জুন সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর পর ইতিমধ্যে দেশব্যাপী ফলের বৃক্ষরোপন করে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে পাঁচ কোটি ফলের গাছ রোপন ও মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে পরিবেশ ও মানসিকতার সমস্যাবলী যথাযথ সমাধান নিশ্চিত করা লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।