খবর৭১ঃ
দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে যেন জেঁকে বসেছে শীত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের উত্তরের এ জনপদে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয়ের হিমবায়ু সক্রিয় থাকায় শনিবার থেকে আরও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে এই শীত মোকাবেলায় অসহায় শীতার্ত মানুষের জন্য দিনাজপুর জেলায় আরও এক লাখ শীতবস্ত্র চেয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জরুরি বার্তা প্রেরণ করেছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, দিনাজপুরে গত কয়েক দিন থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই উঠানামা করছে। শুক্রবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্বোত্তরের উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের এ উত্তরাঞ্চলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমালয়ের হিমবায়ু এখনও সক্রিয় আছে। এ হিমবায়ুর কারণে দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলে শনিবার থেকে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে শনিবার থেকে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।
তিনি জানান, আগামী ২৭ অথবা ২৮ ডিসেম্বর থেকে এ অঞ্চলে আরও একটি মৃদু অথবা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশার তেমন প্রভাব না থাকায় দিনের বেলা সূর্যের আলো দেখা গেলেও শীতের তীব্রতা বেশ বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম জানান, দিনাজপুর জেলায় ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে প্রাপ্ত ৫১ হাজার ৬০০ শীতবস্ত্র প্রতিটি উপজেলার অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৮৩ লাখ টাকা এসেছে। ইতিমধ্যেই অসহায় শীতার্ত মানুষের শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য জেলার ১৩টি উপজেলার প্রতিটিতেই ৬ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫ লাখ টাকা শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণের জন্য ব্যয় করা হবে।
তিনি বলেন, এ জেলার অসহায় শীতার্ত মানুষের শীত মোকাবেলায় আরও ১ লাখ শীতবস্ত্র চেয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জরুরি বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও অসহায় শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম।