খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড–১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছেন তাদের মধ্যে চার ভাগের তিনভাগই পুরুষ। বিশ্বে নারীর তুলনায় করোনায় মৃতদের তালিকায় পুরুষ বেশি হলেও বাংলাদেশে তা আরও বেশি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়। এছাড়া আক্রান্তের ক্ষেত্রের নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি বলে জানা যায়।
বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ নারী মারা গেছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৩৯৮ জন।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গত একদিনে এক হাজার ১৬৩ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের নিয়ে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ। যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ছয়জন নারী। মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ১৯ জন হাসপাতালে আর বাসায় একজন মারা গেছেন।
শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৩৬ জন পুরুষ এবং এক হাজার ৭৬২ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। শতাংশ হিসেবে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ নারী মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে নতুন দুই হাজার ১১৩ জনসহ মোট ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার সাড়ে নয় মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। প্রথম দিকে আক্রান্তের গতি ধীর থাকলেও মাঝে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এরপর মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসলেও শীত আসার পর আবারও এই সংখ্যাটা বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমে সেটা বৈশ্বিক মহামারি রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এখন যুক্তরাজ্যে করোনা নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় তা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।