মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ শহরে পরকিয়া প্রেমের বলি ইয়াসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।রোববার দুপুরে নিহত ইয়াসমিনের মা শাহানা আক্তার বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ৩ দিনের ভেতরে প্রতিবেদন দিতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।মামলারা আসামিরা হলেন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে নিহত ইয়াসমিন আক্তারের স্বামী জুয়েল মিয়া (৩০), তার পিতা আব্দুল জলিল (৫৫), চাচা রেজ্জাক (৬০), কলিম মিয়া (৫৮), ভাই রুবেল মিয়া (২৫), মা রাবিয়া খাতুন (৫০) ও শাহ আলম।মামলার বিবরণে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের এখলাছ মিয়ার মেয়ে ইয়াসমিনকে ৫ বছর আগে বিয়ে দেয়া হয় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে জুয়েল মিয়ার সাথে।
বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে দুইটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। নাম জিহাদ ও জিসান। সম্প্রতি জুয়েল মিয়া ওই এলাকার এক তরুণীর সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি আঁচ করতে পারে ইয়াসমিন। এক পর্যায়ে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।এ ঘটনার তিনমাস আগে ইয়াসমিনকে নিয়ে জুয়েল শহরের পশ্চিম ভাদৈ এলাকার রিভারভিউ খান ম্যানসনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেয়। গত ১১ ডিসেম্বর গভীররাতে পরকিয়া প্রেমের বিষয় নিয়ে জুয়েলসহ উল্লেখিতরা ইয়াসমিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ রান্নাঘরের জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।সদর থানার এসআই খুর্শেদ আলমসহ একদল পুলিশ রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের জিম্মায় দেয়। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়িতে দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।