খবর৭১ঃ গত ১১ মাসে দেশে ৩০ কোটি ১৪ লাখ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া গত ১০ মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনিবন্ধিত ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকার জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এই প্রতিবেদন আদালতে পেশ করেন।
ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক হাজার ৪৩৭টি মামলা করা হয়। ডিএজি জানান, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় সাড়ে ৩০ কোটি টাকার ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিরোধী অভিযানের সর্বশেষ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।
গত বছরে দায়েরকৃত এক রিট মামলায় হাইকোর্ট সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার/ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলো। ঐ আদেশের ধারাবাহিকতায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আদালতে এ প্রতিবেদন দেয়।
