বাবুনগরী মামুনুল ও ফয়জুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন খারিজ

0
339

খবর৭১ঃ হেফাজত আমির জুনাইদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে মানহানির মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলা গ্রহণ করার মতো কোনো উপাদান না থাকায় এ আবেদন খারিজ করে দেন। এর আগে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।

এ মামলায় আরও অভিযুক্ত করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

এবি সিদ্দিকী মামলার আরজিতে দাবি করেন, গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় আসামি মামুনুল হক ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আর জুনাইদ বাবুনগরী গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক সভায় ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আসামি ফয়জুল করীম বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে এক জনসভায় ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। ভাস্কর্য তৈরি করা হলে তা বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন আসামি ফয়জুল করীম।

অন্যদিকে এর আগে খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার সরকারকে পতন ঘটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা জাতির পিতা, দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে বিশ্বের কাছে দেশকে হেয়প্রতিপন্ন করছে।

এতে আরও বলা হয়, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে ঐক্যজোট করে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য তার ছেলে তারেক রহমানকে দিয়ে জঙ্গিবাদীদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করে। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০১৪ সালে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে ভয়াবহ পেট্রলবোমা মেরে হাজার হাজার নিরীহ জনগণকে হত্যা করা হয়। এ অবস্থায় আবার এ স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানিদের দালালচক্র খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী জাতির পিতার ভাস্কর্য বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন কার্যকলাপ ও সংঘাত সৃষ্টি করে। তাদের গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়াতে জাতির পিতার ভাস্কর্যের একটি হাত ভেঙে দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের মধুর ভাস্কর্যের একটি কান ভেঙে দেয়।

তাই বাদী মনে করেন, যে পিতার নেতৃত্বে এই দেশের জন্ম হয়েছে, একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সেই পিতার হাত ভেঙে এই বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত, ইসলামী শাসনতন্ত্র– এই সংগঠনগুলো স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করে পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা করে এবং স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতার নাম এই দেশের মাটি থেকে মুছে ফেলতে চায়।

এর আগে জাতির জনকের ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেয়ায় ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে বাবুনগরী, মামুনুল ও ফয়জুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। মামলা দুটি আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here