খবর৭১ঃ
সপ্তাহ পেরুলেই শীতের মাস পৌষ। অগ্রহায়ণ বিদায়ের পথে। তবুও শীতের দাপট নেই। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে জেঁকে আসছে শীত। ক্রমশ নামবে হাড় কাঁপানো শীত। তিন-চার দিনের মধ্যেই নামতে শুরু করবে তাপমাত্রা। বাড়বে শীতের তীব্রতা। সঙ্গে পাল্লা ভারী করবে ঘন কুয়াশা।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে আরেকটি লঘুচাপ। এই ডিসেম্বরেই বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ তৈরি হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের সময় দেশের ঐ এলাকাগুলোর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। আকাশ দখল করে নিতে পারে মেঘ আর দৃষ্টিসীমায় কুয়াশা। রাজধানীতে আবারও শীতের অনুভূতি বাড়ছে। দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে অবশেষে আসতে শুরু করেছে শীতের হিমেল হাওয়া। রংপুর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরাঞ্চল জুড়ে শীত, ঘন কুয়াশা ও হালকা বৃষ্টির সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল বাতাস। এর ফলে ক্রমেই শীতের অনুভূতি বাড়ছে।
গতকাল সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যান্য স্থানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আবহাওয়ার আগামী তিন মাসের পূর্বাভাসে দেখা যায়, জানুয়ারিতে দুই থেকে তিনটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (ছয় থেকে আট) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে দুটি তীব্র (চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।
গতকাল সোমবার অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।