খবর৭১ঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ২৫২ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হাজার ৭৭২ জন হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ১১৮টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৫২৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৩০টি। এর মধ্যে নতুনভাবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৫২ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হাজার ৭৭২ জন হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
করোনায় মৃতদের এই ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ জন আর নারী চার জন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন পাঁচ হাজার ১৮৪ জন এবং নারী এক হাজার ৫৮৮ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, নারী ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বয়সের ভিত্তিতে মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হিসেবে মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ১৪ জনই ঢাকা বিভাগের, চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগে তিন এবং রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগে মারা গেছেন একজন করে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু খুলনা বিভাগে কোনো মৃত্যু হয়নি।
করোনায় গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই হাজার ৫৭২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে তিন লাখ ৯০ হাজার ৯৫১ জন হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক হিসেবে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া দুই হাজার ৫৭২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন এক হাজার ৯১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬২ জন, রংপুর বিভাগের ৩৭ জন, খুলনা বিভাগের ৩১ জন, বরিশাল বিভাগের ২৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ৪৩ জন, সিলেট বিভাগের ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৪ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
শুক্রবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ছয় কোটি ছাড়িয়েছে।