খবর৭১ঃ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো এখন পুরোপুরি দৃশ্যমানের পথে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকি আছে মাত্র ২টি স্প্যান বসানোর কাজ। বাকি থাকা স্প্যান ২টির মধ্যে আবহাওয়া অনকূল ও কারিগরি জটিলতা না দেখা দিলে শুক্রবার (৪ডিসেম্বর) সেতুতে বসতে চলছে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’।
৩৯তম স্প্যান বসানোর ৭দিনের মাথায় সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে মাঝ নদীতে ১১ ও ১২ নং পিয়ারে ৪০তম স্প্যানটি বাসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ৬কিলোমিটার অংশ।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সকালে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৭তম স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিয়ারে উদ্যেশ্যে রওনা হবে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নির্ধারিত পিয়ারের কাছে পৌছে পরবর্তী প্রক্রিয়ায় নোঙর ও কারিগরি কাজ সম্পন্ন করে স্প্যানটি বসানোর জন্য তোলা হবে। আবহাওয়া অনকূলে থাকলে ও কারিগরি জটিলতা দেখা না দিলে এদিন স্প্যানটি বসানো হবে।
৪০তম স্প্যান বসে গেলে সেতুতে বাকি থাকবে মাত্র ১টি স্প্যান। ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের।
এদিকে স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। এরমধ্যে সেতুতে ১৮শতাধিক রেলওয়ে ও ১২শতাধিক রোড ওয়েস্ল্যাব বসানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৯টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫হাজার ৮৫০ মিটার অংশ।
৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে পদ্মা সেতুর।