খবর৭১ঃ ইরানের অন্যতম পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে রিমোট কন্ট্রোলড মেশিনগান দিয়ে গুলি করা হয়েছে। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নিশান গাড়ির ভেতরে রাখা হয়েছিল ওই মেশিনগানটি। পরে সেটিকেও উড়িয়ে দেয়া হয়। ইরানের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মেইল অনলাইন।
ইরানের আধাসরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে মেইল অনলাইন বলছে, ওই বন্দুকটি দিয়ে অন্তত তিনটি গুলি করা হয়েছে। সড়কের পাশেই ওই গাড়িটির অবস্থান ছিল।
এদিকে সোমবার মোহসেন ফাখরিজাদেহকে সোমবার রাজধানী তেহরানের ইমামজাদা সালেহ মাজার প্রাঙ্গনে দাফন করা হয়েছে। করোনার কারণে ভিড় এড়াতে দাফন অনুষ্ঠানে কেবল তার পরিবারের সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারেরা অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
ফার্সের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাখরিজাদেহ গত শুক্রবার একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। সে সময় নিরাপত্তাবাহিনীর তিনটি গাড়ি তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। তখন একটি গাড়িতে কোনো কিছু ধাক্কা লাগার শব্দ হয়। তিনি তখন কী ঘটেছে তা দেখার জন্য বের হন। তিনি গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর পরই একটি রিমোট কন্ট্রোলড বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়। সড়কের পাশে পার্ক করা নিশান গাড়ি থেকে ওই গুলি ছোড়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, ফাখরিজাদেহের গাড়ি থেকে ১৫০ মিটার দূর থেকে তাকে গুলি করা হয়েছিল। তাকে কমপক্ষে তিনবার গুলি করা হয়। তার দেহরক্ষীকেও গুলি করা হয়েছে। প্রায় তিন মিনিট ধরে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
পার্ক করা গাড়িটি বিস্ফোরণের আগেই ফাখরিজাদেহের দেহ সরিয়ে ফেলেন তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা।
তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, তারা নিশান গাড়ির মালিককে শনাক্ত করেছেন, তবে তিনি হামলার দুইদিন পরে রোববার দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
ইরানের অন্যতম পরমাণু বিজ্ঞানী ফাখরিজাদেহের হত্যাকারী ও এর নির্দেশদাতার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির শীর্ষনেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেন, ফাখরিজাদেহ দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।
তবে ফাখরিজাদেহের মৃত্যুর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করা হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ফাখরিজাদেহের ঘটনা নিয়ে সোমবার ইসরাইলি গোয়েন্দামন্ত্রী এলি কোহেন রেডিও স্টেশন ১০৩ এফএমকে বলেছেন, তিনি জানেন না এই ঘটনার দায়িত্ব কার।