খবর৭১ঃ কোভিড–১৯ মহামারীর মধ্যে ঘরের বাইরে মাস্ক ছাড়া বের হলে জরিমানা করা হবে। এতেও লোকজন সতর্ক না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দেবে, যেতে হতে পারে কারাগারে। এমন সতর্কতা এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে শক্ত অবস্থানে সরকার। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের ‘কঠোর অবস্থানে’ যাওয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগেই আমরা বলেছি– এ সপ্তাহ থেকে আরেকটু স্ট্রং অ্যাকশনে যাব। আমার মনে হয় মাস্ক ব্যবহারে ঢাকার বাইরে কিছুটা ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। ডিসিরা বলছেন, জেলা সদরে মানুষ মোটামুটি সতর্ক হচ্ছে।
‘ঢাকার লোকজন এখনও পুরোপুরি কেয়ারফুল হয়নি। কেউ মাস্ক না পরে বাইরে এলে জরিমানা করা হবে। ফাইন দিতে হবে ৫০০ টাকা। এখন থেকে ম্যাক্সিমাম ফাইন করা হবে। এতেও কাজ না হলে আমরা আরও ইনস্ট্রাকশন দেব, বলেছি সর্বোচ্চ জরিমানা করতে।’
তার পরও মাস্ক না পরলে কী হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তার পরে জেলে যেতে হবে, লোকজন যদি সতর্ক না হয় আর কি করা যাবে। আমরা তো ঝুঁকি নিতে পারি না, আমাদের যতটুকু সম্ভব করতে হবে, আমরা বলে দিয়েছি।’
মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সারা দেশে যেভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছে, সেভাবে আরও ৭–১০ দিন চালিয়ে এর পর থেকে তাদের আরও কঠোর শাস্তি দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। এর পরও লোকজন মাস্ক ব্যবহারে শিথিলতা দেখাচ্ছে।
সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।