রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আখচাষী বাঁচাও, শ্রমিক বাঁচাও, মিল বাঁচাও, হটাও দালাল, বাঁচাও মিল, মুজিব বর্ষের এই অঙ্গীকার নিয়ে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের আঁখ চাষী ও শ্রমিক কর্মচারীদের মিল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের প্রধান ফটকে সমাবেশের আয়োজন করে মৌচিক আখচাষী কল্যান সমিতি ও মৌচিক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
মানববন্ধন সমাবেশে মৌচিক আঁখচাষী কল্যান সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌচিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌচিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, মৌচিক আঁখচাষী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু, সহ-সভাপতি ফজের আলী, শ্রমিক নেতা সাইদুর রহমান পিকু, কৃষক জহুর আলী, আক্কাস আলী, বাবুর আলী সহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
এসময় চিনি শিল্প রক্ষায় সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। মিল এলাকায় আখ চাষী ও শ্রমিক কর্মচারীদের সমন্বয় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা চাষির বকেয়া টাকা, শ্রমিকদের বকেয়া এবং সকল পাওনা, দেশে ১৫ টি সুগার মিল একই সাথে চালুর দাবি, ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুম সার উপকরণ এর সার সরবরাহের দাবি করেন। বক্তারা আরো বলেন, প্রত্যেক মিল এলাকায় পোষ্টার, ব্যানার ও লিফলেট বিতরণ করা, একই সঙ্গে দেশে ১৫ টি চিনিকলের মাড়াই মৌসুমের তারিখ নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত কোন মিলে বয়লার স্লো-ফায়ারিং করা যাবে না। অবিলম্বে এ দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনার হুশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ। পরে মিল চত্তরে আখচাষী ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে।
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার কবির জানান, দেশের চিনিকল কর্পোরেশনের কাছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ সার বাবদ ৫৮ কোটি টাকা পাবে। ফলে এই টাকা পরিশোধ না করলে সার মিলছে না, এতে করে আখ চাষীদের সাথে সার কিটনাশকের চুক্তি করা যাচ্ছে না।