খবর৭১ঃ রাজধানীতে ফিলিং স্টেশনে সহকর্মীদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ যুবক রিয়াদ হোসেন (২০) মারা গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত মঙ্গলবার থেকে এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন রিয়াদ। চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।
ঢাকার জুরাইনের কমিশনার রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রিয়াদ। তার বাবা ফরিদ মিয়া একজন গাড়িচালক। রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গাড়িচালক বাবাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি জুরাইনের ‘এস আহমেদ’ ফিলিং স্টেশনে ‘পার্টটাইম’ চাকরি নিয়েছিলেন রিয়াদ হোসেন। মঙ্গলবার ভোরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাকে।
এ ঘটনায় রিয়াদের বাবার করা মামলায় মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহমদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ওই ফিলিং স্টেশনে রিয়াদসহ চারজন অপারেটরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ইমন রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রিয়াদ ইমনকে ঘুম থেকে জাগিয়েছিলেন বলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার গায়ে আগুন দিয়ে দেয়।