খবর৭১ঃ সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী-শিশু নিপীড়ন ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বানসহ ১১ দফা দাবিতে নারী সমাবেশ করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রগতিশীল নারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিকালে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সিপিবি নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সোমা দত্ত, নারী সংহতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তসলিমা আখতার প্রমুখ।
সমাবেশের আগে একটি মিছিল শাহাবাগ থেকে শুরু হয়ে বাটা মোড়, গাউছিয়া, নিউমার্কেট, কাঁটাবন হয়ে শাহাবাগে এসে শেষ হয়। তাদের ১১ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সারা দেশে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, আদিবাসী নারীদের ওপর যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করা, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করা, সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত, ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-১৫৫ (৪) ধারাকে বিলোপ করা এবং মামলার ডিএনএ আইনকে সাক্ষ্য-প্রমাণের ক্ষেত্রে কার্যকর করা, অপরাধ বিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অন্তর্ভুক্ত করা, ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে অসম্পূর্ণ সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, তদন্তকালীন ভিকটিমের মানসিক নিপীড়ন বন্ধ করা, ভিকটিমের আইনগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, সব ধরনের সভা-সমাবেশে নারীবিদ্বেষী সংবিধানবিরোধী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, সাহিত্য-নাটক-সিনেমায় নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ করা, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে বিটিসিএলের কার্যকর ভূমিকা পালন করা, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির চর্চায় সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা, সারা দেশে মাদক বন্ধে সরকারিভাবে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ, পাঠ্যপুস্তকে বিদ্যমান নারীর প্রতি অবমাননা ও বৈষম্যমূলক যে কোনো প্রবন্ধ-নিবন্ধ-পরিচ্ছদ-ছবি-নির্দেশনা এবং শব্দচয়ন পরিহার, গ্রামীণ সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা।