খবর৭১ঃ মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল শুরুর দিনেই ১৩টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) নতুন ভিসা ইস্যু করা বন্ধ করেছে বলে খবর এসেছে।
নিরাপত্তাসহ কয়েকটি ইস্যু দেখিয়ে গত ১৮ নভেম্বর থেকে দেশটি নতুন ইমিগ্রেশন নীতি কার্যকর করেছে বলে প্রাপ্ত নথির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে।
যে ১৩টি মুসলিম জাতীয়তার জন্য ইউএই নতুন এই ইমিগ্রেশন নীতি নিয়েছে সেগুলি হলো- আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ইরান, ইরাক, কেনিয়া, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়া, তিউনিশিয়া, তুরস্ক এবং ইয়েমেন।
এর মধ্যে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেনের মতো দেশগুলোর নাগরিকদের নতুন চাকরি এবং ভ্রমণ ভিসা দেয়া বন্ধ থাকবে। আর আলজেরিয়া, কেনিয়া, ইরাক, লেবানন, পাকিস্তান এবং তিউনিশিয়ার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভ্রমণ ভিসা ইস্যু।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে কারও জন্য বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে কি না তা এখনও নিশ্চিত এবং এ বিষয়ে আমিরাতের পরিচয় ও নাগরিকত্ব বিষয়ক কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশের জন্য ইউএই নতুন ভিসা স্থগিত করার পেছনে মূলত নিরাপত্তা শঙ্কার কারণ দেখিয়েছে। তবে সেই আশঙ্কা কীসের ভিত্তিতে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ স্থগিতাদেশ দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
এর আগে তারাসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য আমিরাত নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসলামাদের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, ভিসা স্থগিত করার বিষয়ে আমিরাত সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ দেখায়নি।
এদিকে সম্পর্ক স্বাভাবিকরণ’ চুক্তির তিনমাস পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যকার সরাসরি বিমান চলাচল শুরুর দিন বৃহস্পতিবার ১৩টি মুসলিম জাতীয়তার ওপর ইউএইর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবরে এখন পর্যন্ত সংশ্লিস্ট দেশগুলির কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
তবে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের ঘনিষ্টতা বৃদ্ধির মধ্যে মুসলিম দেশের ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার পেছনে ইহুদীবাদী দেশটির ভূমিকা থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।