পাপুলের স্ত্রী-কন্যার সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিস

0
325
পাপুলের স্ত্রী-কন্যার সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিস

খবর৭১ঃ মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সাংসদ সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াইফা ইসলামের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নোটিস পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্পদের হিসাব চেয়ে পৃথক নোটিস পাঠানো হয়েছে। কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।

এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত নোটিসে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াইফা ইসলাম এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর সাংসদ পাপুল, তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনে নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই। অন্যদিকে এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগ দখলে রাখার অপরাধে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযাগ আনা হয়েছে এজাহারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here