খবর৭১ঃ
রাজধানী ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ রোধে প্রদত্ত ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন।
ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ রোধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’-এর করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট ৯ দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বেড়েছে বায়ু দূষণ। আর এ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়, যা সংযুক্ত করে হাইকোর্টের নজরে আনেন মনজিল মোরসেদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে গত ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হলে বায়ুদূষণ কিছুটা কমতে থাকে। কিন্তু বর্তমানে ঢাকা শহর আবারও সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের শহর হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।’
পরে সেসব সংবাদ সংযুক্ত করে বায়ুদূষণ রোধের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে গত ১৫ নভেম্বর আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
নির্দেশনাগুলো হলো—১. ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনের ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, ২. নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, ৩. সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটাবে, ৪. রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, ৫. কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা, ৬. সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, ৭. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা, ৮ পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান সব টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা এবং ৯. মার্কেট/দোকানগুলোতে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগে ভরে রাখা এবং অপসারণ নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনকে পদক্ষেপ নেওয়া।