খবর৭১ঃ অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারসহ রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন মামলাগুলো তদন্ত করবে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, আজ কমিশনার স্যারের নির্দেশে মামলা তিনটি বাড্ডা থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর হয়েছে। এখন মামলাগুলো তদন্ত করবে ডিবি।
এর আগে শনিবার গোল্ডেন মনিরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রাতভর অভিযানে ৬০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি বিদেশি পিস্তল ও নগদ এককোটি ৯ লাখ টাকা ছাড়াও বিলাসবহুল পাঁচটি গাড়ি জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে র্যাব। এরমধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে। অপর দুটি অস্ত্র ও মাদক আইনে। বর্তমানে এসব মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে আছে মনির।
গ্রেপ্তার পর র্যাব জানায়, ৯০ দশকে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনির। এরপর শুরু করেন কোকারিজের ব্যবসা। এক পর্যায়ে স্বর্ণ চোরাচালানির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিদেশ থেকে অবৈধভাবে বিপুল স্বর্ণ দেশে আনতেন। উপার্জিত অর্থদিয়ে মেরুল বাড্ডায় বিলাস বহুল ছয়তলা বাড়ি গড়ে তোলেন। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুইশর বেশি প্লট এবং ৩০টির মতো ফ্লাটের কথা মনির স্বীকার করেছেন।