খবর৭১ঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সিলেটের মহসীন তালুকদার নামে এক যুবক। এ ঘটনার পর ওই যুবককে গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত ১২ টা ৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক লাইভে এসে চাপাতি প্রদর্শন করে সাকিবকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেন মহসীন তালুকদার নামের ওই যুবক।
হত্যার হুমকির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। ওই যুবককে গ্রেফতার করতে অভিযানে নেমেছে এসএমপি পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া যুবককে গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই পুলিশের সকল বাহিনী হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।
ভারতের কলকাতায় গিয়ে কালীপূজার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেছেন– অভিযোগে ৩৩ বছর বয়সী তারকাকে এ হুমকি দেওয়া হয়।
হুমকিদাতা মহসীন তালুকদার সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের তালুকদার পাড়া গ্রামের আজাদ বক্সের ছেলে।
ফেসবুক থেকে লাইভে সাকিব আল হাসানকে হত্যার ঘোষণা এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে মহসীন তালুকদার নামের ওই ব্যক্তি গালিগালাজ করে বলেন, ‘ তুই কিতা পাকিস্তানের ক্রিকেটাররারে দেখছস না? তোর তো তারারে দেখা উচিৎ। তুই মুসলমানের বাচ্চা হইয়া গেছোস পূজা উদ্বোধন করাত। কলিজাত তুই অলা আঘাত দিছস। তোরে ফাইলে আমি কোপাইয়া কাটিমু। সবাই হুনিয়া রাখইন আমি ‘মহসিন তালুকদার’ কইলাম। সাকিবরে ফাইলে আমি কোপাইয়া কাটিমু। ’
তবে সে ঘটনাটি ‘কালীপূজার উদ্বোধন’ নয় জানিয়ে আজ সন্ধ্যায় ইউটিউবে সাকিব জানিয়েছেন, তিনি কালীপূজা উদ্বোধন করেননি। একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে তিনি সেটা কখনই করবেন না।
সাকিব বলেছেন, ‘ঘটনাটি খুব সেন্সেটিভ। প্রথমেই বলতে চাই, আমি নিজেকে গর্বিত মুসলমান মনে করি। আমি সেটাই চেষ্টা করি পালন করার। ভুল ত্রুটি হবেই। আসলে ভুলত্রুটি নিয়েই আমরা জীবনে চলাচল করি। আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনাদের মনে কষ্ট দিলেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। পূজার বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া এবং সোশ্যাল সাইটে এসেছে যে, আমি পূজা উদ্বোধন করতে গিয়েছি। আসলে কখনই যাইওনি এবং করিওনি। এটার প্রমাণ আপনারা অবশ্যই পাবেন।‘
সাকিব প্রমাণ দিয়ে বলেন, ‘সেখানে অনেক সাংবাদিক ভাই–বোনেরাই ছিলেন। যাদেরকে ইনভাইট করা হয়েছে। তাছাড়া আপনারা যদি সেখানকার ইনভাইটেশন কার্ডটাও দেখেন, তাহলে বুঝবেন কে পূজা উদ্বোধন করেছে। কার্ডে নামও লেখা আছে। এটি উদ্বোধন হয়েছে আমি যাওয়ার আগে। আর যেখানে আমাদের অনুষ্ঠানটি হয়েছে, সেটা পূজামণ্ডপ ছিল না। সেটা আলাদা একটা স্টেজ ছিল।’