খবর৭১ঃ করোনাভাইরাস মহামারির চলমান সংকটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসের মাত্র ১২ দিনেই ১০৬ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশের ইতিহাসে একক মাসের মাত্র ১২ দিনে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে জুলাই থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯.৮৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬.৮৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৪৩.৪২ শতাংশ বেশি। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
এ বিষয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে সারা বিশ্ব। এ সময়টাতে আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা কষ্ট করে অর্থ পাঠিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এর পরপরই রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়তে শুরু করলে অনেকই বলতে শুরু করলেন এগুলো ঠিক নয়, থাকবে না, টেকসই নয়।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস যখন অবিশ্বাস্য গতিতে রেমিট্যান্স অর্জিত হচ্ছিল তখন কিছু লোক বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করলেন। সেই সমস্ত লোকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও তাল মিলিয়ে বলতে শুরু করল এ প্রবাহ ঠিক নয়, টেকসই হবে না। কিন্তু প্রণোদনা ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির যে প্রবাহ, তাতে তাদের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং আমরা যে সঠিক ছিলাম, আরও একবার তা প্রমাণিত হলো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নভেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যা দেশের ইতিহাসে মাত্র ১২ দিনে কখনও অর্জিত হয়নি। গড়ে প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে প্রবাসী আয় অর্জন, এটি ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।