খবর৭১ঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কেউ চাকরিতে যোগদানের পর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজমা শেখ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সাধারণত চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেসব সনদ জমা দেন তা তাদের সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করলে তাও সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষক অধ্যয়নরত থাকার সময় চাকরিতে যোগ দেন এবং পরে অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন।
অনেক শিক্ষক নৈশকালীন বা খণ্ডকালীন কোর্স সম্পন্ন করেছেন কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া যদি কোনো শিক্ষক শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন তবে এই যোগ্যতা সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদগুলো যাচাই করে সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, এখন থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
এই নতুন নিয়মকে নিজেদের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষকরা। তারা জানান, আগে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য নারীদের উচ্চমাধ্যমিক ও পুরুষদের জন্য স্নাতক ডিগ্রি যোগ্যতা নির্ধারণ করা ছিল। নারী শিক্ষকের বড় অংশই উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এই চাকরিতে আসেন। পরে অনেকে স্নাতক ও মাস্টার্স করেন। কিন্তু তা তাদের সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। নতুন নিয়মে এসব ডিগ্রি সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত হলে পদোন্নতির ক্ষেত্রে তা কাজে লাগবে বলে মনে করেন তারা।
সর্বশেষ সহকারী শিক্ষক নিয়োগবিধি-২০১৯ অনুযায়ী, নারী-পুরুষ সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক চাওয়া হয়েছে।
এখন চাকরিকালীন অর্জিত উচ্চতর ডিগ্রিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শতভাগ স্নাতক ডিগ্রিধারী শিক্ষক পাবে।