খবর৭১
খালা সম্পর্কীয় এক নারীর সহায়তায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিলেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। কলেজপড়ুয়া সেই তরুণী বুদ্ধি খাটিয়ে জরুরি সহায়তার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান। তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি ধর্ষণের চেষ্টাকারী সেই ব্যক্তি ও সহায়তাকারী নারীকে গ্রেপ্তার করে।
পিরোজপুরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা শহরের লক্ষ্মীপুরা এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সোহেল মুন্সি (২৬)। সোহেল লক্ষ্মীপুরা এলাকার মফিজুর রহমান ফিরোজ মুন্সীর ছেলে। তাকে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার নারীর নাম ফিরোজা বেগম (৪৫)। তিনি দক্ষিণ শিয়ালকাঠীর লিয়াকত মার্কেট এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা যায়, ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিনি লক্ষ্মীপুরা এলাকায় খালা সম্পর্কীয় ফিরোজা বেগমের বাসায় তার জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কিছু কাগজপত্র আনতে যান।
ভুক্তভোগী তরুণীর সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি ওই বাসায় গেলে সোহেল মুন্সি ফিরোজা বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় তিনি কৌশলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। পরে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ভান্ডারিয়া থানার ওসি বলেন, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।