খবর৭১ঃ নানা রোগে আক্রান্ত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর তাকে মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার তাকে বাসায় নেয়া হলেও কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে আবার হাসপাতালে আনা হয়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
আদ-দ্বীন হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তবিবুর রহমান আকাশ রফিক-উল-হককে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৮৫ বছর বয়সী রফিক-উল হক বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। সোমবার তার করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও অবস্থার খুব উন্নতি হচ্ছিল না। বুধবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালটির মহাপরিচালক ডাক্তার নাহিদ ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে জানান, রফিক-উল-হকের শারীরিক অবস্থা মঙ্গলবার রাত থেকে খারাপ হয়েছে। তার রক্ত শূন্যতা ছিল, তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। সব কিছু মিলেয়ে প্রথম দিকে অবস্থা উন্নতি হলেও এখন অবনতি হয়েছে। অক্সিজের মাত্রা কমে গিয়েছিল, প্রেসার কমে গিয়েছিল। তাকে ভেন্টিলেটর দেয়া হয়েছে। এখন আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তবে তিনি রেসপন্স করছেন। কথা বলতে পারছেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ২০১১ সালে স্ত্রী ডা. ফরিদা হকের মৃত্যুর পর থেকে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। তার ব্যক্তিগত ড্রাইভারই তার দেখাশোনা করেন। কয়েক বছর আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বাঁ পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকে তার স্বাভাবিক হাঁটাচলা ব্যাহত হয়। মাঝেমধ্যে পায়ে ব্যথা হয়। যে কারণে হুইলচেয়ারে যাওয়া-আসা করতে হয়। পুরানা পল্টনের ছায়াশীতল, নিরিবিলি বাড়িতেই থাকতেন বেশিরভাগ সময়। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া আদালতেও এখন আর তেমন তার যাওয়া হয় না।
রফিক-উল হকের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনের শুরু ১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রফিকুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করে দেশব্যাপী প্রসংশিত হন।