খবর৭১ঃ ধর্ষণের ঘটনায় যে কোনো ধরনের সালিশের উদ্যােগ এখনই বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করার বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না- সে বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্টদের বলেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সরোয়ার পায়েল।
ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। রিটে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করার বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আছে তা যেন কঠোরভাবে পালন করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এ ছাড়া রিটে গত ১০ বছরে সারা দেশে কতগুলো ধর্ষণের মামলা হয়েছে এবং কতগুলো মামলা বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে তার তথ্য জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ধর্ষণের মামলার বিচার রুদ্ধদ্বার আদালতে করার বিধান কার্যকর করার নির্দেশনাও চাওয়া হয় ওই রিটে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন এই রিট আবেদন দায়ের করেন। আইন, স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট করার আগে গত ১৩ অক্টোবর অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই রিট আবেদন করা হয়।