খবর৭১ঃ
মহামারি করোনার কারণে বাতিল হওয়া চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের আংশিক অর্থ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এক্ষেত্রে পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজে ব্যয় হয়ে যাওয়া অর্থ বাদ দিয়ে এই অবশিষ্ট অর্থ সার্টিফিকেটের সঙ্গেই ফেরত দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এইচএসসির ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্র ফিসহ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ৫০০ টাকা, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৯৪০ টাকা করে ফি দিতে হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানে কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিক ফিসহ) ৮০৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্যে ৪৪৫ টাকা করে ফি নেয়া হয়। পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও সেটি বাতিল হওয়ায় কিছু অর্থ জমা রয়েছে। বর্তমানে সে অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘পরীক্ষা আয়োজনে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অধিকাংশ অর্থ ব্যয় হয়ে যাওয়ায় অবশিষ্ট অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
জিয়াউল হক বলেন, ‘পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ব্যবহারিক পরীক্ষা না নেয়ায় যে পরিমাণে অর্থ রয়েছে তা ফেরত দেয়া হবে। খুব বেশি অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব হবে না। হয়তো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ফেরত দেয়া হতে পারে। তবে তুলনামূলকভাবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বেশি ফেরত পাবে।’
প্রসঙ্গত, সারাদেশে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন আর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন। পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষা বোর্ডে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। হিসাব করে দেখা গেছে, ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।