রাজিব আহমেদ রাসেল, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে গতকাল মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের ঘোষিত ফলাফলে আঃলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবু ৯ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম শাহীন ২ হাজার ৪ শো ২৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এই উপনির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রতিকের প্রার্থী রফিকুল হাসান সহ ৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়। সকাল ৯টার সময় থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে। সকাল থেকেই নির্বাচনী এলাকার নন্দলালপুর, পুঠিয়া, রানীকোলা, পোরজনা হাইস্কুল, বড় মহারাজপুর, জামিরতা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্র ঘুরেও ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এসময় ২/১ জনকে ভোট দিতে দেখা যায়, খোঁজ নিয়ে জানা যায় দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম শাহীন ও ধানেরশীষ প্রতিকের প্রার্থী রফিকুল হাসান বাবু অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আঃলীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে ওৎ পেতে থাকে। দুপুরের পরে তারা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দখলে নিয়ে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়, পরে জাল ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে।
এদিকে দুপুরের পরে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ, পুলিশ সুপার মোঃ হাসিবুল হক বিপিএম, জেলা রিটার্নিং অফিসার বেশকয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে, জনগণ যাকে ভোট দিবে সে ই জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বিজয়ী হবে। ভোটের ফলাফল পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই বলে তিনি জানান।
এদিকে জোতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় একটি বুথে শতশত মানুষ সাড়ি বদ্ধভাবে ভোট দিচ্ছেন। অথচ আশ্চর্যের বিষয়টি হলো পাশের বুথেই শূন্যতা বিরাজ করছে, পোলিং অফিসাররাও খোশ গল্পে মেতে রয়েছে। বিষয়টি এই প্রতিনিধির সন্দেহ হলে একজন ভোটারের কাছ থেকে তার শ্লীপ নিয়ে ভোটার তালিকায় মেলানো হলে বেড়িয়ে আসে আসল সত্য। এই যুবকটি জাল ভোট দেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। পরক্ষণেই কেন্দ্রের উপস্থিত ভোটাররা
ও উধাও হয়ে যায়।
ভোট শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে জোতপাড়া কেন্দ্রটিতে মোট ৫শো ৬৩ টি ভোট পরেছে জানা গেলেও নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে উক্ত কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১হাজার ৭ শো ৪৪ বলে জানা যায়।