খবর৭১ঃ মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরী এবং তার স্ত্রী আশফা হক লোপার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পৃথক দুটি নোটিসে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদক সূত্র জানায়, মাহি বি চৌধুরী এবং তার স্ত্রী আশফা হকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মেদ গত সপ্তাহে তাদের গুলশানের বারিধারা বাসায় এ নোটিস পাঠান।
দুদকের পাঠানো নাটিসে বলা হয়েছে, মাহী বি চৌধুরী, তার স্ত্রী নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এছাড়াও নোটিসটিতে বলা হয়, এই আদেশ দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) উপধারায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বছরের জুন মাসে মাহী বি চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
সেবছরই ২৫ আগস্ট দুদক মাহি বি চৌধুরীকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সেসময় দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মাহী বি চৌধুরী দাবি করেন, তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের সুযোগ নেই। বাংলাদেশের বাইরে যদি তার কোনো আয়-ব্যয় থাকে তা বৈধ আয় থেকেই হয়েছে।
মাহী বি চৌধুরী দুদকরে উপর অভিযোগ তুলে এও বলেছিলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য আমার বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। দুদক আমাকে তলব করেছে বলেই আমি অভিযুক্ত নই। আমি বিশ^াস করি মানুষ সত্যটা জেনে যাবে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহি বি চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব। তার স্ত্রী আশফা হক দেশের নামী টেলিভিশনগুলোতে উপস্থাপনা করতেন। রাজনীতির ফাঁকে অল্প বিস্তর উপস্থাপনায় দেখা গেছে মাহী বি চৌধুরীকেও।