মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর প্রতিনিধি :
সৈয়দপুরে মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকা বদরুদ্দিন (৩৪) নামে মাদকাশক্ত এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে যেকোন সময় আত্মহত্যা করে সে। শহরের চাঁদনগর মহল্লার তুলশীরাম সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন স্বর্ণ ব্যবসায়ী শামসুদ্দিনের বাসায় ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। জানা যায়,ওই এলাকার মৃত নাজির খানের তিন পুত্রের মধ্যে বদরুদ্দিন ছিল সবার ছোট। স্বর্ণ ব্যবসায়ী শহরের শেরে বাংলা সড়কের হেমা জুয়েলার্সের মালিক বড় ভাই শামসুদ্দিনের বাড়িতে থাকতো সে। তবে কোন কাজ কর্ম বা করে বাড়িতে অবস্থান করে আসছিল। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে খাওয়া দাওয়া করে নিজের ঘরে চলে যায় সে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও সে ঘুম থেকে না ওঠায় তার ভাবি তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘসময়েও সে না ওঠায় গ্রীলের জানালা দিয়ে দেখে সে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ফুলপ্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে বদরুদ্দিনের ভাবি তারা বানু চিৎকার দিলে বাড়ির অন্যান্য ঘরে থাকা অন্যান্য লোকজন বেড়িয়ে এসে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে দরজা ভেঙ্গে ফাঁস লাগানো বদরুদ্দিনকে উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো আবুল হাসনাত ,পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সুরতহাল করেন। এতে গলায় ফাঁস লাগানো দাগ ও আত্মহত্যার অন্যান্য নমুনার প্রমাণ পায়। এসময় সাংবাদিকদের তারা জানান,মুলত সে আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃতের বড়ভাই শামসুদ্দিন জানায়, অনেক বুঝানোর পরেও তার ছোট ভাই বদরুদ্দিন কোন কাজ কর্ম করতো না। বাড়িতেই অবস্থান করতো সে। এরই মধ্যে সঙ্গদোষে মাদকের নেশায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। আর মাদকের কারনে সে মানসিক রোগীতে পরিণত হয়। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে মাদকের নেশা থেকে ফেরাতে এবং সুস্থ করতে দিনাজপুরে মানসিক রোগের চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া শুরু করেন।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে চিকিৎসা নিয়ে আসছিল। ওই এলাকার পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু জানান পরিবারে সকলের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল খুবই ভাল।অত্যন্ত ভদ্র প্রকৃতির ছেলে ছিল সে। সুত্র জানায় হয়তো মানসিক সমস্যা বেশী হওয়ায় ক্ষোভে আত্মহত্যা করতে পারে।