খবর৭১ঃ স্যাভলনের হ্যান্ড স্যানিটাইজারে বিষাক্ত মিথালনের উপস্থিতি পাওয়ায় গাজীপুরে এসিআইয়ের কারখানায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। অভিযানে পণ্যের মেয়াদ নিয়েও অনিয়ম পেয়েছে বাহিনীটি।
রবিবার দুপুর থেকে শুরু হয় এই অভিযান। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের অভিযান পরিচালনা করছেন।
বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এলিট ফোর্সটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক সুজয় সরকার।
করোনা মহামারি শুরুর পর বিশ্বে স্যানিটাইজার তৈরির হিড়িক পড়ে যায়। স্যানিটাইজার তৈরিতে ইথানল অ্যালকোহল ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও অনেক কোম্পানি কম দাম হওয়ায় বিষাক্ত মিথানল ব্যবহার করেছে বলে খবর বেড়িয়েছে। যা নিয়ে সতর্ক করেছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। মিথানলের স্যানিটাইজার ব্যবহারে মাথা যন্ত্রণা, বমি, অন্ধত্ব, জ্ঞান হারানো থেকে কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন যে কোনো ব্যক্তি।
জানা যায়, র্যাব এসিআই কোম্পানির ‘স্যাভলন হ্যান্ড সেনিটাইজার’ বিভিন্ন পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে তাতে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পেয়েছে। যে উপাদানটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারে থাকার কথা না। কিন্তু স্যাভলনের স্যানিটাইজারের গাঁয়ে ‘আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল’ দিয়ে তৈরি লেখা থাকলেও তাতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলের কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে জীবাণুনাশক হিসেবে মানুষ যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে তাতে জীবাণুমুক্ত হওয়া দূরে থাক, এতে মানুষের শরীরে নানাবিধ ক্ষতি হয়। আর দেশেও মিথানলের ব্যবহার সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। গাজীপুরে এসিআইয়ের এই কারখানায় বিষাক্ত মিথানল দিয়ে স্যানিটাইজার তৈরি হচ্ছিল। এমন খবরেই র্যাব সেখানে অভিযান চালাচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, স্যাভলনের একটি প্রডাক্টের একটা ব্যাচে পুরাটাই বিষাক্ত মিথানল পাওয়া গেছে। তবে সব প্রডাক্টে এমনটি পাওয়া যায়নি। মিথানল স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিষ্ঠানটি আউটসোর্সিং করে বাইরে থেকে এই প্রডাক্ট এনেছিল। পরে নিজেদের প্যাকেটে ভরেছে। তারা আরও অনিয়ম করেছে। বিশেষ করে ফ্যাক্টরির ঠিকানা যেখানে ছিল, সেখানে কোনো পণ্য নেই। এছাড়া অনেক পণ্যের বস্তার গায়ে মেয়াদ ছয় মাস লেখা থাকলেও প্যাকেটের গায়ে তা দুইবছর লেখা রয়েছে। আমরা তাদের আরও অনিয়ম দেখছি। বিস্তারিত পরে বলা সম্ভব হবে।