খবর৭১ঃ দেশজুড়ে আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য আছে।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান সকাল ১০টায় এই রায় ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর ভূবন চন্দ্র হালদার।
আলোচিত এই মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। মামলার বাকি ১৪ আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার বরগুনার শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।
রিফাতের স্ত্রী মিন্নি উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজের নির্দেশে তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলামের জিম্মায় আছেন। অপর আট আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন বরগুনা কারাগারে রয়েছেন। তবে চার্জশিটভুক্ত আসামি মো. মুসা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
রিফাত হত্যার রায়কে ঘিরে বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি টহল বেড়েছে। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও টহল দিচ্ছে।
এই মামলার রায়ে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বেকসুর খালাস পাবে বলে প্রত্যাশা তার বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলেই হয়রানির শিকার। জীবন বাজি রেখে মিন্নি তার স্বামীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। অথচ মিন্নি প্রধান সাক্ষী থেকে এখন আসামির কাঠগড়ায়, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ গেটে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসী নয়ন বন্ড ও তার বাহিনী। ওই রাতেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় রিফাত হত্যার ভিডিও।
পরদিন ২৭ জুন রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে সাক্ষী রেখে নয়নসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরিফ। এ অবস্থায় ২ জুলাই রাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নয়নবন্ড। এরপরই সমালোচনায় আসেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। হত্যাকারী নয়ন বন্ডের সঙ্গে গোপন বিয়ে ও ঘনিষ্ঠতার নানা ছবি ভাইরাল হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন মিন্নি, সাক্ষী থেকে আসামি হওয়ায় নতুন করে আলোচনার ঝড় ওঠে। ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান মিন্নি। মুসা বন্ড বাদে এজাহারভুক্ত সব আসামির গ্রেপ্তার শেষে এ বছরের ১ জানুয়ারি আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।