এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তারে

0
394
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তারে

খবর৭১ঃ
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তার নাম রাজন আহমদ। তিনি ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার অজ্ঞাত আসামি ছিলেন। রাজনকে পালাতে সহযোগিতা করায় আটক করা হয়েছে আইনুল ইসলাম নামে আরও একজনকে।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৯ এর একটি দল।

র‌্যাব-৯ সিলেটের একটি সূত্র গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ছায়া তদন্তে নেমে র‍্যাব এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে রাজনকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর মধ্যে চারজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আর অপরজন মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাজন আত্মগোপনে রয়েছেন বলে খবর জানতে পারে র‌্যাব। এমন খবরের ভিত্তিতে বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়। রাত সাড়ে ১২টার পর রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় মামলার আরেক আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯ এর একটি দল। একই সময়ে মামলার অন্যতম আসামি রবিউল হাসানকে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া রবিবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক খেয়াঘাট এলাকা থেকে গণধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয় হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে।

গত শুক্রবার বিকালে স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। এক পর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এ সময় ৬/৭ জন যুবক ওই নারীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় গণধর্ষণ করে। প্রতিবাদ করলে তার স্বামীকে মারধরও করে ধর্ষণে অভিযুক্তরা।

খবর পেয়ে পুলিশ সেই রাতেই ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। পরে রাতভর ছাত্রাবাসটি অভিযান চালিয়ে সাইফুরের রুম থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি লম্বা দা, একটি ছুরি ও দুটি জিআই পাইপ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলা ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here