খবর৭১’ করোনায় মৃত্যু দশ লাখ ছুঁতে চলেছে। বিশ্বজুড়ে এর প্রকোপ থামছে না। করোনার ভ্যাকসিন নিয়েও পুরোপুরি আশার সংবাদ শোনাতে পারেনি বিশ্ব। এমন অবস্থায় ভ্যাকসিন আসার পর বিস্তৃতভাবে এর ব্যবহার না করা গেলে মৃত্যু ২০ লাখে পৌঁছতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর রয়টার্সের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান বলেন, আমরা যদি এগুলো না করি তাহলে দুই মিলিয়ন (২০ লাখ) মৃত্যু কল্পনা নয় দুঃখের বিষয় এটি বাস্তবেই ঘটতে পারে।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তির নয় মাসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের। রায়ান বলেন, আমরা করোনার প্রকোপের বাইরে নই।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউন শিথিল হওয়ায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হিসেবে যুবকদের দোষারোপ করা উচিত নয়।
এর একদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান আধানম ঘ্রেবেয়েসুস বলেন, করোনার সব ভ্যাকসিনই যে কাজ করবে, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো গ্যারান্টি দিতে পারব না যে পরীক্ষাধীন সব ভ্যাকসিনই কার্যকরী হবে। যত বেশি স্বেচ্ছাসেবকদের উপর আমরা পরীক্ষা করতে দেব, তত একটি নিরাপদ ও কার্যকরী ভ্যাকসিনের খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।’
আধানম গেব্রিয়েসুস আরও বলেন, ‘প্রায় দু’শ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে গোটা বিশ্বে। ভ্যাকসিন তৈরির ইতিহাস আমাদের বলে দিচ্ছে, কেউ কেউ ব্যর্থ হবে, আবার কেউ সফল হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘এটা কোন চ্যারিটির বিষয় নয়। একসঙ্গেই আমাদের ডুবতে হবে বা ভাসতে হবে। এই মহামারিকে খতম করতে এবং গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দ্রুততম পথ হল, সব দেশেরই কিছু কিছু মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। কিছু কিছু দেশের সব মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ নয়